(এই পোস্ট এর সব
আলোচনা এবং তথ্য অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা- সাব ক্লাস ৫৭৪ এর জন্য প্রযোজ্য। এই
পোস্ট এর সকল ইনফরমেশন শেয়ার করা যাবে লেখকের নাম এবং এই পোস্ট এর লিঙ্ক উল্লেখ
করলে। লেখাটি পরিবর্তন করে প্রকাশ করতে চাইলেও এই পোস্ট এর লেখকের নাম এবং এই
পোস্ট এর লিঙ্ক উল্লেখ করতে হবে)
ভিসা
ফর্ম ফিলাপ করে সব সাপোর্টিং ডকুমেন্ট আর এপ্লিকেশন ফি (যদি লাগে) নিয়ে গুলশান এক
এ, তেজগাও-গুলশান লিঙ্ক রোড এ সিমেন্স টাওয়ারের (আসল নাম জেড এন টাওয়ার) এ চলে
যান। এটা পাবেন গুলশান এক নাম্বার গোলচক্কর থেকে বাংলালিঙ্ক/পিযযা হাট/কেএফসি এর
দিকে এগুতে থাকলে হাত এর ডান দিকে। রাস্তার ঊল্টাপাশে একটা Standard Chartered এর ATM বুথ আছে।
সিমেন্স টাওয়ারের নিচে দেখবেন একজন গার্ড বসা আছে কিছু টোকেন
নিয়ে। তাকে বলুন অস্ট্রেলিয়ার ফর্ম সাবমিট করবেন। সে আপনাকে একটা টোকেন দেবে। এটা
নিয়ে এই বিল্ডিং এর দোতলায় চলে যান। আমার সাবমিশন এর দিন নিচে থেকে টোকেন নিতে হয়
নি, দোতলা থেকেই দিয়েছিল। কিন্তু এডিশনাল ডকুমেন্ট সাবমিশনের সময় নিচে থেকে টোকেন
নিতে হয়েছিল। দোতলায় আরেকজন গার্ড আছে, সে ওই টোকেন দেখে বডি সার্চ করে আপনাকে
ভেতরে নেবে। ভেতরে ঢুকেই হাতের ডানে আপনাকে ব্যাগ জমা দিতে হবে এবং সেটার বিনিময়ে
একটা টোকেন দেবে।
আপনি সব কাগজপত্র নিয়ে ভেতরে চলে যান। অনুসন্ধানে আগের টোকেনটা
দিয়ে বলেন অস্ট্রেলিয়া। ওখান থেকে আপনাকে নতুন একটা টোকেন দেবে। সেটা নিয়ে ৪-৫
নম্বর কাঊন্টার এর সামনে বসুন। ওরা আপনাকে ডাকবে। সব ডকুমেন্ট রেডি করে রাখুন। আপনাকে
ডাকলে কাউন্টারে যান, বাকিটা ওরাই বলে দেবে। আপনাকে যদি ভিসা ফি দিতে হয় তাহলে ওরা একটা মানি রিসিপ্ট এ টাকার অঙ্ক লিখে আপনাকে দেবে। আপনি সেটা নিয়ে পাশের কাউন্টারে টাকা জমা দেবেন, ভিসা এপ্লিকেশন ফি ৪৪,৭০০ টাকা আর ব্যাঙ্ক ড্রাফট এর চার্জ ৩০০ টাকা, এই মোট ৪৫,০০০ টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেয়া হলে আগের কাউন্টারে ফেরত এসে রিসিপ্ট জমা দেন।
এরপর আবার অপেক্ষা করতে হবে ছবি তোলা
আর হাতের ছাপ নেবার জন্য (বায়োমেট্রিক কালেকশন)। হাতে মেহেদি না থাকাই ভাল, ওদের পোস্টারে বলা আছে মেহেদি
থাকলে কাজ হবে না। যদিও আমার স্ত্রীর হাতে মেহেদি ছিল, তবুও ওরা আঙ্গুলের ছাপ
নিয়েছিল। তবে হাত কাটা থাকলে মনে হয় কাজ হবে না।
No comments:
Post a Comment